বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে কফিন বন্দী হয়ে দেশে ফিরেছেন ওমানের সালাহ শহরে থাকা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে পঞ্চাশোর্ধ আব্দুল মতিন। তিনি দুই সন্তানের জনক।
গত শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ বোয়িং ৬৩৮ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে তাঁর মরদেহ। পরে মৃত আব্দুল মতিনের ছোট বোনের স্বামী খলকু মিয়া ঢাকা থেকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে ছুটে আসেন।
প্রিয়জন হারানো পরিবার পরিজনের কান্নায় ভারী হচ্ছে পরিবেশ। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় আব্দুল মতিনের নিজ গ্রাম বায়তুন নূর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে হাফিজ সাব্বির আহমদ।
প্রসঙ্গত, ১২ ডিসম্বর দেশের বাড়ীতে থাকা বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। কথা বলতে বলতে তিনি বারবার নিজের বুকের দিকে হাত ইশারা করতে শুরু করেন। তীব্র যন্ত্রণায় তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছিলনা। এ প্রান্ত থেকে উদ্বিগ্ন স্ত্রী ও মা বুঝতে পারছিলেন, তিনি বুকে মারাত্মক ব্যাথা অনুভব করছেন। দূরত্বের কারণে তাঁর কোনো সাহায্য করার উপায়ও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যখন পরিবারের সদস্যরা উৎকন্ঠা নিয়ে তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই ভিডিওকলের সংযোগ রেখেই যন্ত্রণাকাতর মতিন আকস্মিক নিথর হয়ে যান। ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। চোখের সামনেই সব শেষ হয়ে যায়, আর ভিডিওকলের স্কিনে ভেসে ওঠে এক চিরন্তন নীরবতা।


0 Comments