ডেস্ক রিপোর্ট : আবাসিক গ্যাস সংযোগ না থাকায় এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের অভাবনীয় চাহিদা রয়েছে উপজেলা জুড়ে। জনগণের চাহিদার কারণে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে উপজেলার হাট বাজারে চলছে রমরমা সিলিন্ডার ব্যবসা। ফুটপাত, দোকানের সামনে অরক্ষিত স্থান দখল করে রাখা হয় এসব সিলিন্ডার। প্রখর রোদে থরেথরে সাজিয়ে রাখা সিলিন্ডার গুলো যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে। পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে দিনের পর দিন এসব ব্যবসা চালিয়ে গেলও তদারকি করার কেউ নেই। জনমনে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে।

বিশ্বনাথ উপজেলার ৩৬ টি হাট বাজার ও পৌর শহর মিলিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক সিলিন্ডার ব্যবসার দোকান গড়ে উঠেছে। খোদ পৌর শহরে রয়েছে ২০টি মত সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান।ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে রাখা এসব প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগের নেই অনুমোদন, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের অনুমতি ও ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স। বিস্ফোরক পরিদপ্তর থেকে লাইসেন্স এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের (যেমন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ) ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ব্যবসায়ীর এসব বিষয়ে জানাশোনা নেই। জানা নেই জনবহুল এলাকা এড়িয়ে একটি নিরাপদ স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ড রোধে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি ও নেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে। অনেক ক্ষেত্রে ১০টির কম সিলিন্ডার থাকলে লাইসেন্স লাগে না, এই আইনকে কাজে লাগিয়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শতশত সিলিন্ডার রেখে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সিলিন্ডার ব্যবসায় আইন কানুনের বাধ্য বাধকতা আছে এমনটি জানেন না তারা। বিস্ফোরক দপ্তরের কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ কখনো এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কোনো নির্দেশনা দেন না, অথবা তদারকি করতেও যান না। 

যত্রতত্র প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, ফুটপাত দখল করে এবং অবৈধ উপায়ে সিলিন্ডার বিক্রির পরিবেশ বন্ধ করতে দিনদিন স্থানীয় ও ভোক্তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় ক্রেতা ও সচেতন মহলের দাবী দূর্ঘটনা রোধে এবং পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা যেন ফুটপাত ও দোকানে সামনের খালি স্থানে অথবা রোদ থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখে তারা ব্যবসা করেন। বিশ্বনাথ পৌরশহরের বাসিন্দা আমিন আহমদ, ইয়াসিন মির্জা ও আব্দুল হান্নান এই দাবীগুলো জানান।

সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বৈধ উপায়ে ব্যবসা করতে প্রশাসনের নজরদারির ব্যাপারে বিশ্বনাথ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর জোনের দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ মুনিম সারওয়ার জানান, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। লাইসেন্স ছাড়া শতাধিক সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ উপজেলায় এটি অবগত হয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের (ইউএনও) সাথে সমন্বয় করে এ বিষয়ে শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।