খুন হওয়া মৎস্য ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের নয়াসৎপুর গ্রামের মৃত আছমত আলীর পুত্র এবং ঘাতক আনহার আলী একই গ্রামের আইন উদ্দিনের পুত্র। এঘটনায় খুন হওয়া রবিউল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়াসৎপুর গ্রামের সমছু মিয়া (জঞ্জালের) চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন আনহার ও রবিউল। আড্ডার এক পর্যায়ে বাকিতে গাঁজা বিক্রি করে টাকা না পেয়ে নিজের কাস্টমারদেরকে গালমন্দ শুরু করে গাঁজা ব্যবসায়ী আনহার আলী। এসময় খুন হওয়া রবিউল ইসলাম গালমন্দের প্রতিবাদ করায় প্রথমে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এরপরে আনহার মিয়া বাড়িতে গিয়ে চাইনিজ কুড়াল এনে পেছন দিকে মাছ ব্যসায়ী রবিউল ইসলামের পিটের ডান পাশে (উপরে) কুপ দেয়। চাইনিজ কুড়ালের কুপে ঘটনাস্থলেই মৎস্য ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
এদিকে হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এসময় জনতার হাতে আটক ঘাতক গাঁজা ব্যবসায়ী আনহার মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
‘হত্যাকান্ডের ও ঘাতককে আটক’র সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে (শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মামলা হয়নি)।


0 Comments