নিম্নে তা হুবহু তুলে ধরা হলো, বাসিয়া তুমি একা নও, হাজারো নদী প্রেমী তোমার পাশে
মনে আছে, যখন কেউ কথা বলার ছিল না বাসিয়া নদীর দখল-দূষণ নিয়ে তখন ছিলাম আমরা কয়েকজন হতভাগা তরুণ। আওয়াজ তুলেছিলাম "বাঁচাও বাসিয়া" বলে। শুরুর দিকে মাত্র ৪/৮ জন মিলে বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের ব্যানার ধরে ছিলাম বাসিয়ার ব্রিজে।
প্রচার ও সাহস যোগানের ভূমিকায় ছিলেন, আমাদের বিশ্বনাথের সাংবাদিকবৃন্দ। দূর প্রবাস থেকেও সাহায্য সহযোগিতা করেছিলেন বিশ্বনাথের প্রবাসী ভাই-বন্ধু।
আলহামদুলিল্লাহ, সম্প্রতি দেখতে পাচ্ছি সংগঠক, তরুণ সমাজ, সুশীল সমাজ, লেখক সহ সর্বস্তরের মানুষ বাসিয়া নদী রক্ষার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলছেন। সবাইকে অভিনন্দন ও শুভকামনা।
২০১৫ সাল থেকে বাসিয়া নদী রক্ষার আন্দোলনে আমরা অবিচল রয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই—কোনো অবৈধ দখলদারের কাছে মাথা নত করিনি, কখনো কারো টাকায় বিক্রি হইনি, মিষ্টি খেয়ে চুপ থাকিনি। হুমকি-ধামকি কিংবা অপবাদেও পিছিয়ে যাইনি। বাসিয়া নদী নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যদি একটি মাত্র প্রমাণ দেখানো যায় যে, আমি কোনো অবৈধ কাজে জড়িত—তাহলে আমি নিজেই স্বীকার করবো আমি সমাজের একজন সবচেয়ে খারাপ মানুষ। কিন্তু সত্য হলো, আমি নদীর পক্ষে, জনগণের পক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে ছিলাম, আছি, থাকবো।
আমি গর্বিত যে, মহান আল্লাহ আমাকে লোভ-লালসা থেকে দূরে রেখেছেন। ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অবৈধ দখলবাজদের সামনে মাথা নত করিনি, করবোও না।
বাসিয়া নদী রক্ষায় নিজের খরচে আন্দোলন চালিয়ে গেছি—মন্ত্রী, সচিব, পরিবেশবাদীদের বারবার বিশ্বনাথে এনেছি। যারা আজ আন্দোলনে আসছেন (নতুন নদী প্রেমী), তাদের উদ্দেশ্যে বলবো—এই আন্দোলনকে কখনোই অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার করবেন না। মিষ্টির লোভে কিংবা দখলদারদের ভয়ে পিছু হটবেন না। সাহসের সঙ্গে, ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
যদি কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে এ আন্দোলনের নামে কটুক্তি, ব্যঙ্গ বা অর্থ লেনদেনে জড়ান—তাহলে তার দায় ‘বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ’ বহন করবে না।
—মোঃ ফজল খান
আহ্বায়ক, বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ
0 Comments