বর্জ্য অপসারণ নিয়ে ইতিমধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন অদৃশ্য সমঝোতায় ময়লা পরিস্কার না করে লোক দেখানো দায় এড়িয়েছে পৌর প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা ও পৌর প্রশাসন গত শনিবার (২২ মার্চ) ঘটা করে পরিস্কারের কাজ উদ্ভোধন করে। উদ্ভোধনে বলা হয়, উপজেলা কোর্ট পয়েন্ট হতে টিএন্ডটি মোড় পর্যন্ত বাসিয়া নদীর দুই তীরে প্রায় ৬ শত মিটার অংশ পরিস্কার করা হবে কিন্তু ২৮ মার্চ বাসিয়া নদীর পশ্চিম অংশ পর্যন্ত নদীর বর্জ্য নদীর পারে রেখেই কাজ সমাপ্ত বলে জানিয়েছেন পৌর সচিব বদরুজ্জামান।
কাজের সর্বোপরি ব্যয় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা ধরা হলেও গতকাল ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ময়লা অপসারণের এস্কেভেটর (ভেকু) প্রতি ঘন্টায় ৫ হাজার টাকায় ভাড়া করা হলেও সর্বমোট কত ঘন্টা কাজ করেছে বা তার মোট ব্যয় এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া কাজের শুরুতে আবর্জনা ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ তাদের নিজস্ব স্থানে নিয়ে যাবে বলে পৌরসভা থেকে জনানো হলেও শেষ পর্যন্ত পৌর সভার কালিগঞ্জে ময়লা অপসারণ করা হয়। বিশ্বনাথ পৌরসভার ফান্ড থেকে ব্যায়ভার বহন করলে কি কারণে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন না করার কারণ অদৃশ্য!
বাসিয়া নদীর উভয় পারের সংযোগ সেতুর পূর্ব পাশ্বের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ আর হবে কি না এমন প্রশ্নের কোন জবাব মিলেনি পৌর ও উপজেলা প্রশাসনের কারো কাছ থেকে।
বিশ্বনাথের বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মোঃ ফজল খান এব্যাপারে জানান; আমরা বাসিয়া নদীর তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ, বর্জ্য অপসারণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছি কিন্ত এত দিন দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি উপজেলা প্রশাসন থেকে। বরং যখন এই কাজ শুরু করা হয়েছে তখন আমাদের সাথে কোন পরামর্শ ও করেনি পৌর প্রশাসন। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত ভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে হাত দিয়ে দখলদারদের দখলের আরো সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। নদীর বর্জ্য নদীর পারেই দাফন করে নদী সংকোচিত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পৌর প্রশাসক বিশ্বনাথ উপেজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আলাউদ্দিন কাদের জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরা যতটুকু কাজ করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি তা সমাপ্ত হয়েছে। বাকী কাজ পরবর্তীতে শুরু করা হবে।
0 Comments