কেন্দ্রীয় খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে দু’তিনবার আমাদের সরাসরি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছি এজেন্ডা কমানোর জন্য। এতো আলোচ্য কার্য্যসূচি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করতে পারেনা। এটার নামই হচ্ছে অন্তর্ববর্তী সরকার। কনস্থায়ী একটি গভর্মেন্ট। আর এই সরকারের অন্যতম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া। এর বাহিরে এজেন্ডা বাড়ালে কিন্তু আপনারাও বেকায়দায় পড়বেন। তখন আপনাদেরকে উদ্ধার করার জন্য ভারত এগিয়ে আসবেনা এবং জনগণও আপনাদের কোলে তুলে লোকাবেনা। শুধু ইসি পূণর্গঠন করলে হবেনা, বিগত দিনের নির্বাচনে নির্বাচন কর্মকর্তাগুলো যারা ছিলো, যারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, সেই সকল যায়গায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচীত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই হবে আপনাদের কাছে জননন্দিত কাজ। এরবাহিরে যত কমিশন গঠন করে এজেন্ডা বড় করবেন ততই আপনারা বিপদে পড়বেন। কারণ বাংলাদেশের জনগণ পেটে ভাতে যদি সুখে না থাকে তাহলে আপনিও সুখে থাকতে পারবেন না। একটি রাজনৈতিক দল বিপদে পড়লে জনগণের কাছে লোকাতে পারে। কিন্তু যারা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে আছেন আপনারাতো লোকাবার যায়গা বিদেশ ছাড়া দেশেতো খুব একটা নাই। সুতারাং অযতা সংস্কারে নামে সময় ক্ষেপন না করে নির্বাচন এবং নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্কার করে আপনারা দ্রæত নির্বাচন দেবেন। এটা খেলাফত মজলিস প্ররিস্কার করে বলতেছি। সুতারাং আসুন বিবেদ ভুলে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে সহযোগীতা করি।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উধার্ত আহবান জানিয়ে আরও বলেন, রাস্তাঘটে চুরি ডাকাতি ছিনতাই বেড়েছে। মানুষ ঘরে নিরাপদ নয়। এখন মানুষ ডাকাতের ভয়ে ঘরের বাহিরে দরজায় দাড়িয়ে পাহারা দিতে হয়। এটাতো কোনো আইনর্শঙ্খলা পরিস্থিতি হতে পারেনা। এছাড়া কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে রাতে ধরে নিয়ে আসা হয় এবং টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হয়। টাকা না দিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি বলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু যারা প্রকৃত অপরাধি তাদেরকে ধরা হচ্ছেনা। প্রত্যেকটা গুম, খুন, লোটপাটকারি, অর্থনীতি দূর্নীতির বিচার আমরা চাই। কিন্তু একটা নিরপরাধ মানুষের হয়রানি আমরা প্রত্যাশা করিনা।
মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা খেলাফত মজলিসের কর্মী সভা ও ইসলামী সংাস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মজলিসের সভাপতি ও সমন্বয়ক সাকিব মাহমুদ রুমী, খেলাফত মজলিস নেতা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় খেলাফত মজলিসের উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, জেদ্দা খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি আব্দুল মুকিত আজাদ, সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সম্পাদক মাও: অলিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাও: সৈয়দুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি মাও: আব্দুল মতিন, উপজেলা ছাত্র মজলিসের সভাপতি আল আমিন, খেলাফত মজলিস নেতা মাও: আবুল খায়ের জালালাবাদি, হাফেজ মাও: শফিক উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন।
0 Comments